দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়তে হবে। Proshno Jagat এর সমস্ত আর্টিকেল লেখা হয় খুবই অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা ফলে আপনি একদম সঠিক উত্তর পাবেন। পড়াশোনা বিষয়ক সমস্ত খবর এর জন্য Bangla Trands এ এসো।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা
ভূমিকা: মানুষের কল্যাণের জন্য বিজ্ঞানের আবির্ভাব। মানুষ নিজের প্রয়োজনে বিজ্ঞানের নিত্যনতুন আবিষ্কার ঘটিয়ে চলেছে। প্রতিদিনের জীবনে আজ বিজ্ঞানই মানুষের একমাত্র ভরসা। মহাকাশ থেকে পাতাল—সর্বত্র বিজ্ঞানের অভিযান চলেছে।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের ব্যবহার: একশো বছর আগেও মানুষের দৈনন্দিন জীবন এত সুখকর ছিল না। এখন সকালে আমাদের ঘুম ভাঙায় অ্যালার্ম ঘড়ি। তারপর দাঁত মেজে পাম্পে তোলা বা টিউবওয়েলের জলে মুখ ধুয়ে হাতে তুলে নিই এক কাপ গরম চা, যা অনেক বাড়িতেই গ্যাস-ওভেনের সাহায্যে প্রস্তুত হয়। এরপর খবরের কাগজ পড়ে অথবা দূরদর্শন বা বেতারের মাধ্যমে দেশ ও পৃথিবীর নানা সংবাদ পাই। মাথার ওপর চলে বৈদ্যুতিক পাখা। কোনো ঘরে থাকে বাতানুকূল ব্যবস্থা। টেলিফোন কিংবা প্রয়োজনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা হয় বহুদূরে থাকা মানুষের সঙ্গে। কম্পিউটারে খবর ও ছবি আসে ইনটারনেটের মাধ্যমে। অসুখ করলে ডাক্তার দেখিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের ব্যবস্থাও করা যায়। স্নানের জন্য যেমন ওয়াটার হিটার গরম জল সরবরাহ করে তেমনি ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল বা বরফ নিয়ে কোল্ড কফিও খেতে মজা লাগে। ফ্রিজে তো কতদিনের তৈরি রান্না রেখে খাওয়া যায়। স্কুল, কলেজ, অফিসের জন্য বাস, ট্রাম, ট্যাক্সি, গাড়ি, অটো, ট্রেন তো রয়েইছে, জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য লরিও রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য বই, খাতা, পেন, কম্পাস ল্যাবরেটরির সরঞ্জাম, ব্ল্যাকবোর্ড ইত্যাদি বহু সুবিধা বর্তমান। বাসস্থানের জন্য বহুতল বাড়ি, লিফট বা এস্কেলেটর রয়েছে। অসুস্থ হলে যেমন অ্যাম্বুলেন্স আছে, তেমনি মৃত্যুর পর শববাহী গাড়িও আছে। প্রেক্ষাগৃহে বসে চলচ্চিত্র দেখে আমরা মুগ্ধ হতে পারি। চিকিৎসার জন্য যেমন হাসপাতালে যেতে পারি, তেমনি আগুন নেভাতে দমকলও চলে আসে দ্রুত। শল্যচিকিৎসা আমাদের অনেক মানসিক উদ্বেগ কমিয়ে দিয়েছে। এইভাবে বিজ্ঞানের নিত্যনতুন আবিষ্কার সুখে ভরিয়ে তুলেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবন। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান হয়ে উঠেছে আমাদের পরম আত্মীয়।
উপসংহার বিজ্ঞান মানুষকে সর্বস্ব দিতে চায়, কিন্তু বিজ্ঞানের অপব্যবহারে মানুষ বিপর্যস্ত। নানান মারণাস্ত্র, সাধারণ বোমা, পারমাণবিক বোমা, ডিনামাইট ব্যবহার, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করার নিত্য প্রচেষ্টা চলছে। দোষ বিজ্ঞানের নয়, তাকে কে কীভাবে প্রয়োগ করছে সেটাই বিবেচ্য। কুসংস্কার দূর করে, বিভেদকামী মনোভাব ও সংকীর্ণ স্বার্থপরতা ত্যাগ করে মানুষের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হলে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের ব্যবহার ও ভাবনা সার্থকতা লাভ করবে। বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু লিখেছেন——যে-কোনো জাতির পক্ষে আজ বিজ্ঞানকে তুচ্ছ করা কিংবা, তার সম্ভাব্যতাকে অবহেলা করা একান্ত বিপজ্জনক। সাময়িক ইতিহাসের সঙ্গে যাঁর পরিচয় আছে তিনি একথা স্বীকার করবেন।
Online Live Class
আমরা সমস্ত ক্লাসের Online Live class করে থাকি আমাদের খুবই অভিজ্ঞ শিক্ষকের দ্বারা। তোমরা আমাদের কাছে লাইভ ক্লাস করতে চাইলে নিচে ক্লিক করো।
শেষ কথা
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা প্রশ্নটি মাধ্যমিকের ভূগোলের সিলেবাস এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আপনি সবথেকে Parfact উত্তর পেয়েছেন।
আমরা বিনামূল্যে এমনই সমস্ত রকম শিক্ষার্থীকে উপকার করে থাকি। আপনারাও আমাদেরকে এইভাবে সুন্দর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে আমাদেরকে আরো উৎসাহ বাড়াতে পারেন।
👇 যদি কোনো প্রশ্ন Proshnojagat-এ না থাকে তাহলে জানাও 👇