উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব

উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়তে হবে। Proshno Jagat এর সমস্ত আর্টিকেল লেখা হয় খুবই অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা ফলে আপনি একদম সঠিক উত্তর পাবেন।

উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব

দূরসংবেদন প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব অপরিসীম।

  • [1] নিখুঁত চিত্র: উপগ্রহ চিত্রে যেহেতু ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত তরঙ্গকে নথিভুক্ত করে ডিজিট্যালরূপে উপস্থাপনকরা হয়, তাই এটি ভূপৃষ্ঠের নিখুঁত চিত্র প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়।
  • [2] জলসম্পদ নির্ধারণ করা: উপগ্রহ চিত্র দ্বারা যেহেতু ভূ-আবরণ মানচিত্র প্রস্তুত করা যায়, তাই অতি সহজেই পৃষ্ঠ ও উপপৃষ্ঠীয় জলসম্পদের বণ্টন জানা যায়। শুধু তাই নয়, জলের গভীরতা সম্বন্ধেও ধারণা করা যায়।
  • [3] কৃষি বৈচিত্র্য নির্ধারণ: উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণের দ্বারা কৃষি এলাকা নির্ধারণ এবং ভূমিব্যবহার, শস্যের প্রকৃতি ও প্রকার সম্পর্কে তথ্য লাভ করা সম্ভব। এ ছাড়া বিকিরিত তরঙ্গরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পার্থক্যের ভিত্তিতে শস্যের বৈচিত্র্য জানা যায়।
  • [4] স্বাভাবিক উদ্ভিদের বণ্টন: প্রায় অবলোহিত বর্ণালির সহায়তায় স্বাভাবিক উদ্ভিদের বণ্টন উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া যায়। বনভূমির ঘনত্ব, উদ্ভিদের ক্লোরোফিলের মাত্রা ইত্যাদি নির্ধারণ করা উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে সম্ভব হয়।
  • [5] আবহাওয়ার পূর্বাভাস: বায়ুমণ্ডলের জন্য তোলা উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া এবং বন্যা ও খরা পরিস্থিতি জানা সম্ভব।
  • [6] সম্পদ অনুসন্ধান করা: বিভিন্ন উপাদানের ওপর প্রতিফলিত সৌরবিকিরণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন ভিন্ন হয়। উপগ্রহ চিত্র প্রতিটি তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে আলাদা আলাদা করে চিহ্নিত করে। তাই সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য উপগ্রহ চিত্র অনেকাংশে সহায়তা করে।
  • [7] প্রতিকূল অবস্থায় স্পষ্ট চিত্র: মাইক্রোওয়েভ রিমোট সেন্সিং পদ্ধতিতে মেঘাচ্ছন্ন অবস্থাতেও নিখুঁত চিত্র পাওয়া সম্ভব।
  • [7] প্রতিকূল অবস্থায় স্পষ্ট চিত্র: মাইক্রোওয়েভ রিমোট সেন্সিং পদ্ধতিতে মেঘাচ্ছন্ন অবস্থাতেও নিখুঁত চিত্র পাওয়া সম্ভব।
  • [৪] ভূমিব্যবহারের পরিবর্তন: কৃত্রিম উপগ্রহগুলি যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের ছবি তোলে, তাই অতি সহজেই ছবিগুলিকে বিশ্লেষণ করে সময়ান্তরে ভূমিব্যবহারের পরিবর্তন দেখানো সম্ভব।
  • [9] মাটি ও খনিজ সম্পদের বণ্টন: বিভিন্ন প্রকার মাটি ও খনিজ পদার্থ দ্বারা প্রতিফলিত ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের বর্ণালি বিশ্লেষণ করে মাটি ও খনিজ সম্পদের বণ্টন ও বৈশিষ্ট্য জানা যায়।
  • [10] দূষণ: উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে মাটি ও জল দূষণের প্রকৃতি ও মাত্রা জানা সম্ভব।
  • [11] প্রতিরক্ষায়: উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের অবস্থান, আনাগোনা ও কাজকর্ম সম্পর্কে জানা যায়

প্রতিটি শিট বা গ্রিডকে চিহ্নিত করার জন্য মানচিত্রে সূচক সংখ্যা ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে মিলিয়ন শিটের সূচক সংখ্যা 39-92-এর মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ 72, 73, 78 ও 79 সূচক সংখ্যার অন্তর্গত।

Full PDF

তোমার প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ক্লাসের Note Download করতে নিচের দেওয়া ডাউনলোড বাটন করে ডাউনলোড করতে পারবে।

শেষ কথা

উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব প্রশ্নটি মাধ্যমিকের ভূগোলের সিলেবাস এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আপনি সবথেকে Parfact উত্তর পেয়েছেন।

আমরা বিনামূল্যে এমনই সমস্ত রকম শিক্ষার্থীকে উপকার করে থাকি। আপনারাও আমাদেরকে এইভাবে সুন্দর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে আমাদেরকে আরো উৎসাহ বাড়াতে পারেন

👇 যদি কোনো প্রশ্ন Proshnojagat-এ না থাকে তাহলে জানাও 👇

Leave a Comment