বর্ষাকাল রচনা
সূচিপত্র
বর্ষাকাল রচনা এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়তে হবে। Proshno Jagat এর সমস্ত আর্টিকেল লেখা হয় খুবই অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা ফলে আপনি একদম সঠিক উত্তর পাবেন। পড়াশোনা বিষয়ক সমস্ত খবর এর জন্য Bangla Trands এ এসো।
বর্ষাকাল রচনা
ভূমিকা:
“এসো হে এসো সজল ঘন, বাদল বরিষণে- বিপুল তব শ্যামল স্নেহে এসো হে এ জীবনে।। এসো হে গিরিশিখর চুমি, ছায়ায় ঘিরি কাননভূমি গগন ছেয়ে এসো হে তুমি গভীর গরজনে।।”
ভূমিকা বৈশাখের রুদ্রতপ্ত দিনের অবসানে বর্ষা আসে। আষাঢ়ের প্রথম দিনে নৈঋত কোণে নতুন মেঘ জমলে জীর্ণ পৃথিবীতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। তারপর বর্ষার ভুবনভরানো উচ্ছ্বাসে তৈরি হয় প্রকৃতির রাজ্যে যৌবনের উন্মাদনা। ভালো-মন্দের আলোছায়ায় তৈরি হয় এই বর্ষাসংগীতের স্বরলিপি।
বর্ষার রূপমাধুর্য বাংলাদেশে বর্ষার যে রূপবৈচিত্র্য তা যে-কোনো মানুষের কাছেই দুর্লভ অভিজ্ঞতা। মেঘের গম্ভীর গর্জনে, বিদ্যুতের চকিত চমকে, বাতাসের শিহরণে এই বর্ষা কখনও যেন গীতিকাব্যের মূর্ছনা- জলতরঙ্গের টুংটাং; আবার কখনও সেখানে মহাকাব্যের গাম্ভীর্য, যুদ্ধের ভেরি নির্ঘোষ। দিগন্তবিস্তৃত মাঠে, অরণ্যে প্রান্তরে শোনা যায় বর্ষার রাগিনী, উতলা হয় নদী, বৃক্ষলতায় লাগে সবুজের ছোঁয়া। ধূলিমলিন বিবর্ণতায় বেঁচে ওঠার অঙ্গীকার ঘোষিত হয়।
বর্ষার ভালো দিক মাঠে মাঠে বীজবোনা, গাছেদের বেড়ে ওঠা জীবনের অকৃপণ আয়োজনকেই নিশ্চিত করে দেয়। চাঙ্গা হয় গ্রামীণ অর্থনীতি। রবীন্দ্রনাথের মতো করে বলা যায়- “বজ্রমানিক দিয়ে গাঁথা, আষাঢ়, তোমার মালা। তোমার শ্যামল শোভার বুকে বিদ্যুতেরই জ্বালা।।
তোমার মন্ত্রবলে পাষাণ গলে, ফসল ফলে- মরু বহে আনে তোমার পায়ে ফুলের ডালা।”
বর্ষার মধ্যে ব্যাপ্ত রোমান্টিকতা যুগ যুগ ধরে কবিমনের প্রেরণা হয়ে দেখা দিয়েছে। আষাঢ়ের প্রথম দিনে কালিদাসের ‘মেঘদূত’-এর যক্ষ মেঘকে দূত করে পাঠিয়েছিল বিরহী যক্ষপ্রিয়ার কাছে। বৈয়ব পদাবলির রাধা তীব্র বিরহে উচ্চারণ করেছিল-“এ ভরা বাদর মাহ ভাদর/শূন্য মন্দির মোর।” আর রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘বর্ষামঙ্গল’। বর্ষা এভাবে শুধু জীবনকে নয়, হৃদয়কেও ছুঁয়ে গেছে বারবার। তার সজল শ্যামল রোমান্টিকতায় সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সাহিত্য।
বর্ষার খারাপ দিক প্রবল বর্ষা গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের কাছেই অভিশাপের বার্তা বয়ে আনে। নদীর জল বাড়ে, সৃষ্টি হয় প্রবল বন্যার। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়। বর্ষার আগমনে কৃষকের চোখে যে স্বপ্নের ইঙ্গিত ছিল-ভরা বর্ষায় তার সমাধি রচিত হয়। নগরজীবনেও এর ব্যতিক্রম হয় না। রাস্তায় জমাজল, তীব্র যানজট, পানীয় জলের সংকট, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপর্যয়-সব মিলিয়ে অতিবর্ষায় বিপন্ন হয় জনজীবন। কবির রোমান্টিকতা তখন পরিহাসের মতো লাগে। দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষের কাছে বর্ষা আনন্দের নয়, আতঙ্কের বার্তা বহন করে আনে। বর্ষা তাদের কাছে রেনি ডে-র হাফ ছুটি কিংবা অফিস কামাই করে খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা নয়, বর্ষা বেঁচে থাকার পথে এক প্রবল প্রতিবন্ধকতা।
Online Live Class
আমরা সমস্ত ক্লাসের Online Live class করে থাকি আমাদের খুবই অভিজ্ঞ শিক্ষকের দ্বারা। তোমরা আমাদের কাছে লাইভ ক্লাস করতে চাইলে নিচে ক্লিক করো।
শেষ কথা
বর্ষাকাল রচনা প্রশ্নটি মাধ্যমিকের বাংলা সিলেবাস এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আপনি সবথেকে Parfact উত্তর পেয়েছেন।
আমরা বিনামূল্যে এমনই সমস্ত রকম শিক্ষার্থীকে উপকার করে থাকি। আপনারাও আমাদেরকে এইভাবে সুন্দর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে আমাদেরকে আরো উৎসাহ বাড়াতে পারেন।
👇 যদি কোনো প্রশ্ন Proshnojagat-এ না থাকে তাহলে জানাও 👇